একদিন যে মেয়েটা সামান্য লিপস্টিক, আলতা,
আর কাঁচের চুড়ির জন্য অভিমান করে উপোস করত।
আজ সেই মেয়েটার গায়ের শাড়িটা যেন পুরনো হতেই চায় না।
সামান্য একটু চোখ রাঙ্গানো কথায় যে মেয়েটা রাতদিন কেঁদে একাকার করে দিতো,
সেই মেয়েটা আজ শ্বশুর বাড়ির হাজারটা কটুকথা, স্বামীর হাজারটা আঘাত নিরবে হজম করতে। সামান্য চোখের পানিও ফেলে না।
যে মেয়েটা মায়ের গলায় জড়িয়ে ধরা ছাড়া ঘুমাতেই পারতো না।
সে মেয়েটা আজ স্বামীকে বিদেশে রেখে একা একা কাটিয়ে বছরের পর বছর।
যে মেয়েটা খাবার খেতে বসলেই নাক ছিটকাতো এটা খাব না ওটা খাব।
সেই মেয়েটা আজ সবাইকে খাইয়ে তরকারি না থাকলেও লবণ মরিচ দিয়ে খেয়ে উঠে পড়ে তবুও কোনো অভিযোগ করে না।