আমার বিয়ে তোমার সাথে হবেনা,
অন্য কারো সাথে হবে যাকে চিনিনা জানিনা।
আমার অনিচ্ছা থাকা সত্ত্বেও সে আমাকে ছোঁবে আমি চাইলেও কিছু করতে পারবনা ঐ শক্তি আমার থাকবেনা।
আমার অনেক ঘৃণা লাগবে কারন আমাকে যে অন্য কারো ছোঁয়ার কথা ছিলো যখন তাকিয়ে দেখবো এটা সে না অন্য কেউ।
আমি কান্না করবো তখন সে ভাববে আমি সুখের কান্না করছি।
কিন্তু সে বুঝবেনা এভাবে প্রতিদিন একেকটা রাত হবে আমার কাছে ধর্ষণের রাত।
কিন্তু তখন আমার কিছুই করার নেই।
আমি যে একটা কাগজে সাক্ষর করে নিজের জীবন অন্যের হাতে তুলে দিয়েছি।
প্রতিদিন তার পরিবারের মন জোগাড় করে চলতে হবে।
কিন্তু আমি তো তোমার ফ্যামেলি নিয়ে স্বপ্ন দেখেছিলাম।
তাদের মন জয়ের স্বপ্ন দেখেছিলাম অথচ দেখো কিছুই হলোনা।
একসময় আমি এসবে অভ্যস্ত হয়ে যাবো।
তারপর হঠাৎ একদিন জানবো আমি মা হবো।
এটা তো নারীর জীবনের সবচাইতে সুখের দিন।
কিন্তু আসলেই কি আমি ঐদিন সুখি হবো?
না হবোনা।
চিৎকার করে কাঁদতে ইচ্ছা হবে কারণ বাচ্চাটা আমার ভালোবাসার চিহ্ন না।
তাও ওকে দুনিয়ায় আনতে হবে কারন ওর তো আর কোনো দোষ নেই।
ও ভুমিষ্ট হওয়ার পর ওর মুখের দিকে তাকিয়ে সব মেনে নিতে হবে।
একসময় ওকে বড়ো করা, স্কুলে নিয়ে যাওয়া,
ওকে মানুষের মতো মানুষ বানাতে গিয়ে কখন যে
৫০ পেরিয়ে চুল পাকতে শুরু হয়ে যাবে বুঝতেই পারবোনা।
এর মাঝখানে তোমাকে অনেক মনে পড়বে লুকিয়ে লুকিয়ে কাঁদবো, তারপর দীর্ঘশাস ফেলে আবার ব্যস্ত হয়ে যাবো।
এভাবেই সময় কেটে যাবে।
তারপর হয়তো কোনো এক রাতে ঘুমের মধ্যেই চলে যাবো পরকালে।
হয়তো তুমি সেদিন জানবেনা।
হয়তো আমার কথা মনে করে,
তুমিও কোনো বর্ষামূখর দিনে চোখ ভিজাবে।
হয়ত বা ভিজাবেনা।
কিন্তু আমার মনের সেই কষ্টগুলো অব্যক্তই থেকে যাবে।
তবুও তুমি ভালো থেকো।